ইকবাল খান: [২] বাজারে অনেক রকমের সবজি থাকলেও দাম কমছে না। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। টমেটোর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া ফুলকপি ও বাঁধাকপির দর ৪০ থেকে ৫০ টাকা। অন্যবছর এ সময়ে যা ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যায়। মটরশুঁটির কেজি ১৫০-১৮০ টাকা। লাউয়ের পিস আকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা, করলার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মরিচের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। 

[৩] নতুন আলুর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে নতুন পেঁয়াজের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

[৪] শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে

[৫] পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম না কমার বিষয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নির্বাচন উপলক্ষে গ্রামে চলে গেছেন অনেকেই। ফলে স্থানীয় বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক ঢাকায় সরবরাহ কমিয়েছে। হরতাল অবরোধেরও বাজারে প্রভাব পড়েছে।

[৬] ক্রেতারা বলছেন, এর আগে শীতের এই সময়ে এত দামে কেউ কখনো সবজি কেনেননি। বিক্রেতাদের দাবি, গত মাসের শুরুতে বৃষ্টিতে কিছুটা ফলন নষ্ট হয়েছে। এছাড়, 

[৭] কথা হয় সালমান হোসেন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘দোকানে আসলেই এই কারণ, সেই কারণ বলে বেশি দাম নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে উল্টো অপমান হতে হচ্ছে। দরদাম করলে অন্য দোকান দেখতে বলছে। বিক্রেতারা মুখে কুলুপ আটকে বসে থাকেন।’

[৮] রমজান আসতে এখনো দেরি দুই মাসের বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডালজাতীয় খাদ্য পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। একই সঙ্গে ছোলার ডাল, মুগডাল, অ্যাংকরসহ প্রায় সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

[৯] বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ছোলার কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, যা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুগডালের কেজি দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। একই সঙ্গে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।

[১০] চ্যানেল২৪ জানায়, বাজারে গত সপ্তাহ থেকে ব্রয়লার মুরগির দরও কিছুটা বাড়তি। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে। আর ডিমের দর গত সপ্তারে তুলনায় ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে।